"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ২৫ - করণ বলে, বাবুজী, আপনি তো আমায় সিনেমায় এ্যাক্টিং করার মতো করতে বলছেন। আমি কী পারবো? বলি, চেষ্টা করে দ্যাখোই না। তবে চাপ নিয়ো না, এসব আমার নিছক খেয়াল। ওদের নিস্তরঙ্গ জীবনে বেড়াতে আসা এক প্রবীণ বাঙ্গালী আঙ্কলের খেয়াল দেখে করণও মজা পায়। স্পোর্টিংলি বলে, চলুন তাহলে দেখি, আপনি যা বলছেন, পারি কিনা ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ২৪ - অনেকের ধারণা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে ১৪ বা ২০ বছর। তা কিন্তু নয়, সরকার চাইলে কাউকে আমৃত্যু কারাগারে বন্দী রাখতে পারে। তবে নতুন, হার্ডকোর অপরাধীদের জন্য কারাগারে স্থান সংকুলানের জন্য জেলারের সুপারিশে সাত দশ বছর জেল খাটা কিছু শান্ত, ভদ্র, নিরীহ দণ্ডিতদের মুক্ত বন্দীশালায় এনে রাখা হয়। তাতে বন্দী পিছু সরকারের খরচও হয় অনেক কম ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ২৩ - এই লেখায় চরিত্রগুলির নাম উল্লেখ না করতে আমি রঘুবীর মীনাজীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই জায়গাটিরও আসল নামের বদলে করলুম - সূরজনগর - After all what's in a name? ... ...
এখন তো বছরের সেই সময়টা শুরু হয়ে গেছে জাপানে যখন লক্ষ লক্ষ বিদেশী পর্যটক সেই দেশে পাড়ি জমায়। জাপান বছরের মার্চ-এপ্রিল-মে এই তিন মাসের মধ্যে খুব সময়ের জন্য সেজে ওঠে চেরী ফুলের সম্ভারে, যাকে ওরা বলে ‘সাকুরা’। সেই সাকুরা দেখতেই পর্যটকদের আগমন। আজ তো নতুন বছরের প্রথম দিন, ভাবলাম সেই চেরী ফুলের গল্প ভাগ করে নেওয়া যাক। ... ...
উত্তরাখন্ড বেড়াতে গিয়েছিলাম ডিসেম্বরের ছুটিতে, তারই টুকিটাকি ঘটনা ... ...
নতুন বছরের শুরুতে মানুষের শুভচেতনার প্রতি উৎসর্গিত ... ...
হল্যান্ডের গাঁ-গঞ্জে, পথে-ঘাটে আমলকীর দেখা না মিললেও স্কিফোল এয়ারপোর্টের বাইরে বেরোলেই ডিসেম্বরের শীতের হাওয়া আপনার শরীরে নাচন লাগাবেই। আর তার সঙ্গে যদি থাকে বৃষ্টি, তবে ষোলো-আনা পূর্ণ! এবার যদিও দিন-দশেকের জন্যে যাওয়া আর কাজের চাপের জন্য খুব বেশী ঘোরাঘুরি হয়ে ওঠেনি, তবুও বাঙালীর পায়ের তলায় সর্ষের তরঙ্গ রোধিবে কে! সুতরাং তার-ই মাঝে ‘হরে মুরারে’ বলে বেরিয়ে পড়া; তবে এবারের ঘোরাঘুরি খুব-ই সংক্ষেপে সারা, তাই এই লেখা অনেকটাই হবে যাতায়াতের পথ আর ছবি-নির্ভর। আগের বার নেদারল্যান্ডস-এর মধ্যে আর আশেপাশের বেশীর ভাগ জায়গাই দেখা হয়ে গিয়েছিল, তাই এবার ভেবেছিলাম সুযোগ পেলে পাশের দেশ বেলজিয়ামে-ও ঢুঁ মেরে আসবো। আর আগেরবার জ্যানসে স্ক্যানসের প্রসঙ্গে কিন্ডারডাইকের কথাও উঠে এসেছিল, তাই মাথায় ছিল সেটাও যদি দেখে আসা যায়। ... ...
ভোর চারটেয় আমরা তৈরী হয়ে নিলাম, বেরিয়ে দেখি রতন-জীও তৈরী। লোহার ঝাঁপ তুলে টর্চ নিয়ে আমরা যখন বেরোলাম, তখনও নিশুতি রাত বলা চলে। কনকচৌরি থেকে কার্তিকস্বামীর মন্দির প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরত্বে। আর মন্দিরে গেস্ট হাউজ প্রায় আড়াই কিলোমিটার। প্রবেশদ্বার দিয়ে যখন ঢুকলাম, দুশো মিটার মত বাঁধানো রাস্তা পেরনোর পর শুরু হল মাটির রাস্তা, ঘন জঙ্গলের পথ। এতক্ষণ বুঝিনি, জঙ্গলে ঢোকার মুহূর্তে বুঝলাম চাঁদের আলোয় ভেসে যাচ্ছে চতুর্দিক, মনে পড়ল আজ কোজাগরী পূর্ণিমা। আকাশে থালার মত চাঁদ। একপাশে মেঘ হালকা রয়েছে যদিও, তবু আশায় বুক বেঁধে চলা। রাস্তা কখনো সমতল, কখনো চড়াই, কিন্তু এর আগের যেসব চড়াই পেরিয়ে এসেছি তার থেকে অনেক কম, আরও আশ্চর্য, পায়ের ব্যথা টের পাচ্ছি না একেবারেই, অতএব ভালো গতিতেই উঠছি। যত রাস্তা এগোচ্ছে, জঙ্গলের ছমছমে ভাব জাঁকিয়ে বসছে, চাঁদের আলোর আলপনা পথে, মাঝে মধ্যে খস খস, সর সর আওয়াজ! ... ...
প্রাচীনত্বের বিষন্ন সাহচর্যে অনেকেরই হাঁফ ধরতে পারে। বর্তমানের উত্তেজনা উপভোগে আসক্ত মানুষ শান্ত ঝিম ধরা অতীতের পরিমণ্ডলে অস্বস্তি বোধ করে। তবে সৌমেনের বেশ লাগে। তাই ও একাকী ভ্রমণে অনেকবার নানা পর্যটকবিরল, নির্জন, ভগ্নপ্রায়, পরিত্যক্ত কেল্লা, প্রাসাদের আনাচে কানাচে বহুক্ষণ ঘুরে বেড়িয়েছে নিজের মনে। এমন জায়গা ওকে নিশির ডাকের মতো টানে। বরং তাজমহলের মতো পরিবেশে ওর দমবন্ধ লাগে ... ...
অত:পর বিরিঞ্চিবাবা দুই বাহু প্রসারিত করে সূর্যকে নির্দেশ দিলেন, "ওঠ্, ওঠ্, ওওওওঠ্"। সূর্যবিজ্ঞান যাঁর হাতের মুঠোয়, তাঁর আহ্বানে অতএব সূর্যোদয় হল! ঐ বেথারটোলির উপর দিয়েই নন্দাদেবী, বেথারটোলি, নন্দাঘুন্টি, ত্রিশূল, দুনাগিরিকে সাক্ষী রেখে শতসহস্র উজ্জ্বল রশ্মির দ্যুতির সপ্তাশ্বরথে চড়ে তিনি আবির্ভূত হলেন। আর আমরা চন্দ্রশিলায় উপনীত মর্ত্যলোকের কীটপতঙ্গ সমুদয় চর্মচক্ষে সেই স্বর্গীয় দৃশ্য প্রত্যক্ষ করলাম! ... ...
সামনের জলে সেই প্রতিফলনের ছবি সুস্পষ্ট! চৌখাম্বা, মন্দানি, সুমেরু, খর্চাকুন্ট আর কেদার – বাকি শৃঙ্গরা ঢাকা পড়েছে ওক, দেওদার, রডোডেনড্রনের বনানীর পেছনে, তার-ও ছায়া জলে। আমাদের দেখাদেখি আরও চার-পাঁচজন পর্যটক এসে জড়ো হন সেই জায়গায়। সকলেই আমরা নিস্তব্ধ প্রকৃতিতে সেই স্নিগ্ধ ভোরের অলৌকিক দৃশ্যটুকু শরীর-মনের অলিন্দে পূর্ণ করে নিতে থাকি। তবু এই পূর্ণতার কি সীমা আছে! না শেষ আছে! “অসীম কালসাগরে ভুবন ভেসে চলেছে। অমৃতভবন কোথা আছে তাহা কে জানে।। হেরো আপন হৃদয়মাঝে ডুবিয়ে, একি শোভা! অমৃতময় দেবতা সতত বিরাজে এই মন্দিরে, এই সুধানিকেতনে।।“ ... ...
উখীমঠের কিছু আগে থেকে রাস্তার চড়াই শুরু হল। এখান থেকে গুপ্তকাশীর রাস্তাও চলে গেল নদী পার হয়ে ওপারে। কেদারের পথ ঐদিকেই মন্দাকিনী বরাবর। এপাশ থেকে আমরা দেখলাম অপর পাশে পাহাড়ের গায়ে স্তরে স্তরে বাড়ি-ঘর নিয়ে সেজে ওঠা গুপ্তকাশী, ঠিক যেন কেউ আঠা দিয়ে খেলনা কিছু ঘরবাড়ি বসিয়ে দিয়েছে, এমন ঝুলে আছে বলে মনে হচ্ছে সেগুলো! আর পাহাড়ের গায়ে ধাপে ধাপে চাষ-বাসের উদ্যোগ। সবুজ উপত্যকা মাঝে মাঝেই বেশ কিছুটা পাহাড়ি ঢাল জুড়ে। আমরা ফেরার পথে উখীমঠ দেখবো, এখন সোজা চোপতা যেতে হবে। উখীমঠ থেকে চোপতার রাস্তার সৌন্দর্যে চোখ জুড়িয়ে যায়। অপরাজিত-এ অপুর প্রণবকে লেখা চিঠির কথা মনে পড়ে “I enter it by the Ancient way, Through the Ivory Gate and Golden”! এই পথ ঐতিহাসিক পথ, এই পথ পুরাণের-ও পথ। ইতিহাস আর পুরাণ এসে মিলে যায় যেন এই পথে। শিব মহিষের রূপ ধরে পালিয়ে বেড়ান পঞ্চকেদারের পথে, পঞ্চপান্ডব তাড়া করে ফেরেন তাঁকে ধরবেন বলে, উমাপ্রসাদ, প্রবোধকুমার, জলধর সেনরা জীবনকে নতুন করে খুঁজে বেড়ান, মানুষ দেখেন, ইতিহাসকে জানার চেষ্টা করেন, জানিয়ে দেন আমাদের। আর আমরা ফিরে ফিরে এসে মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করি সেসব বারবার, মানুষ, ইতিহাস, পুরাণ আর সর্বোপরি হিমালয়ের অতুলনীয় সৌন্দর্য-সম্পদ। তীর্থযাত্রার বা ধর্মকর্মের উদ্দেশ্যে বের হইনি, কিন্তু হিমালয় নিজেই যে তীর্থ, সে স্থান-মাহাত্ম্যে আর সৌন্দর্যে প্রতি মুহূর্তে মালুম হয়। ... ...
রুদ্রপ্রয়াগ থেকে অগস্ত্যমুনির দিকে গাড়ি এগনোর সাথে সাথেই চারপাশের পাহাড়গুলো কেমন হঠাৎ ক’রে উঁচু হতে হতে আকাশ ছুঁয়ে ফেলছিল, ঘিরে ফেলছিল পাঁচিলের মত, বাঁক নেওয়ার মুহূর্তে মনে হচ্ছিল এরপর আর রাস্তা আছে তো? অলকানন্দার বাঁদিক ধরে চলতে চলতে অগস্ত্যমুনি পৌঁছনোর একটু আগে গাড়ির কাঁচে হঠাৎ একঝলক দুধসাদা পাহাড়ের অংশ, একেবারেই হতবাক করে দিয়ে আবার মিলিয়ে গেল। মেঘ বলে ভুল করার কোনো উপায় নেই, চারটে কোণ আর শিখরদেশের ট্রাপিজিয়ামের আকৃতিতে ওই এক ঝলকেই চিনিয়ে দিয়ে গিয়েছে সে নিজেকে; হ্যাঁ, চৌখাম্বা দর্শন দিয়েই তাহলে এ’যাত্রার শুরু; তখনো জানিনা, এরপর এ-যাত্রা যেখানেই যাই আকাশের গায়ে চৌখাম্বা লেগে থাকবে সফেদ-শুভ্র শিখরশ্রেণীর কিরীটে কোহিনূর-এর মতো! কিন্তু ওই একবারই, অগস্ত্যমুনির কাছে এসে বাঁদিকে কেদারের গিরিশ্রেণী দৃশ্যমান হলেও সামনের উঁচু পাহাড়-প্রাচীরে চৌখাম্বা আবার অদৃশ্য উখিমঠের কাছাকাছি আসা পর্যন্ত। পাহাড় কিভাবে প্রাচীর হয়ে তার ভয়ঙ্কর সুন্দর চেহারা নিয়ে দিগবিদিক জুড়ে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকে, গাড়োয়ালের হিমালয় তার এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ! ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ৮ … এটাকে চান্দেরী ভ্রমণ বৃত্তান্তের পুনশ্চঃ বলা যায় ....আমার প্রশ্ন শুনে করণ করুন ভাবে আমতা আমতা করে। করণের মতো মানুষের জীবনে বিশেষ কিছু না জেনেও দিব্যি চলে যায় তাই যেখানে এতদিন আছে সেই স্থানের নামটির তাৎপর্য জানার কৌতূহলও হয়নি ওর। শেক্সপিয়ারের বিখ্যাত কোট - যা রোমিও জুলিয়েট না পড়েও কোথাও উদ্ধৃতি পড়েই জেনেছি - “What's in a name? That which we call a rose by any other name would smell just as sweet.” মনে হয় এমন খামচা মারা জানার আগ্ৰহ ওর নেই। ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ৬ - - - তেমাথায় দাঁড়িয়ে এদিক ওদিক দেখছি। কী খুঁজছেন? কমল মিত্রর মতো রাশভারী গলা শুনে ঘুরে তাকাই। বছর পঞ্চাশের প্রশ্নকর্তার লম্বা চওড়া সুঠাম চেহারা, ব্যক্তিত্বময় মুখ, মর্মভেদী দৃষ্টি। বলি, হনুমান মন্দির। কোত্থেকে আসছেন? নিক্ষিপ্ত হয় দ্বিতীয় প্রশ্নবাণ। কলকাতা। ধেয়ে আসে তৃতীয় মিসাইল, ওখানে কী দরকার? অচেনা কারুর এহেন অবাঞ্ছিত প্রশ্নমালা শুনে ভ্রু কুঁচকে যায়। ভাবি ইনি কেন এতো সওয়াল করছেন? মন্দিরে কেন যায় লোকে? বাজার করতে নিশ্চয়ই নয়। কিন্তু তখনই একটু খটকা লাগে। অজনবীর ভাবিত মুখে পড়েছে অন্য ছায়া - স্বগতোক্তির ঢঙে বিড়বিড় করেন, ক ল কা তা! পরক্ষণেই আবার দারোগার মতো সওয়াল, আপনি কী বাঙ্গালী? ভাবি কলকাতা কী কিরিবাতি আইল্যান্ডের মতো দূরবর্তী না বাঙ্গালী নর্থ সেন্টিনেলীসদের মতো দুর্লভ? কলকাতা শুনে, বাঙ্গালী ভেবে অবাক হওয়ায় কী আছে? সাহারা থেকে সাইবেরিয়া - খুঁজলে দু এক পিস বাঙালি কোথায় নেই। সম্মতিসূচক মাথা নাড়ি। প্রশ্নকর্তার দৃষ্টি নরম হয়। এগিয়ে আসে একটা বলিষ্ঠ হাত। ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ৫ - - - যেন একটি শিশু কোনো আব্দার করেছে। সরল হেসে নিজের নামটি লেখেন আমার দেওয়া কাগজে। বলি, এটা আমি স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে রাখতে পারি? মৃদু হেসে বিহারীলাল বলেন, বেশ তো, রাখুন। ... ...
মিনিট পঁয়তাল্লিশ বাদে তিনি উঠে দাঁড়ালেন, অর্জুন পাশের গাড়ি সরাতে বললেন আমরা রওনা দেব বাঘের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। রাস্তার (মানে জঙ্গলের ভেতরের কাঁচা পথ) দিকে খানিক এগিয়ে এসে এত গাড়ি দেখে বিরক্ত হয়ে তাড়ুবাবু আবার জঙ্গলের গহীন গহনে ঢুকে গেলেন। অর্জুন কিছু নির্দেশ দিয়ে গাড়ি নিয়ে গেলেন এক জলাশয়ের পাশে, তাড়ু জঙ্গলের ভেতর দিয়ে দিয়ে এখানেই নাকি আসবে। আর সত্যিই এলোও। ধীরেসুস্থে এসে জলে নামল তারপর মুখ তুলে তাকালো। উফফ স্বাভাবিক পরিবেশে একদম খোলা জায়গায় খোলা গাড়িতে বাঘের সাথে প্রথম চোখাচোখি ... সে রোমাঞ্চ মানুষের জীবনে একবারই আসে, পরের পরের বারেরা শুধুই প্রথমবারের সাথে তূলনীয় হয়ে চলে। ... ...
উদয়পুরে এত সবুজতার কারণ পিচোলা এবং ফতেহ সাগর এই দুটো হ্রদ। পিচোলা হ্রদের মাঝখানে একটা দ্বীপে আছে জগ মন্দির। গরমকালে রানারা ওখানে গিয়ে থাকতেন, এখন সেটা একটা পাঁচতারা এবং যথেষ্ট দামী হোটেল। আর একটা দ্বীপেও 'লেক প্যালেস' বলে একটা হোটেল আছে , সেটা টাটাদের। মূল রাজপ্রাসাদেরও ক্যাম্পাসের ভেতরে দুটো বাড়ি হোটেল হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়। ... ...